গোলাম সারওয়ার সজলঃ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউনের দ্বিতীয় দিন ১৯ জুলাই পুলিশের গুলিতে সাভারের রেডিও কলোনী এলাকায় সাইমন ইসলাম আল-আমিন (২১) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, আল-আমিন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর মধ্যপাড়ার বাবুল মিয়া ও মনোয়ারা বেগম দম্পতির মেজো ছেলে। নিহতের মা, বাবা ও অপর দুই ভাইবোনের সঙ্গে রেডিও কলোনি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁর বাবা কাজ করেন গাজীপুরের একটি ফ্যান ফ্যাক্টরিতে। ঘটনার পরদিন নানাবাড়ি দৌলতপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে আল- আমিনের মরদেহ দাফন করা হয়।নিহতের বাবা বাবুল মিয়া ও মা মনোয়ার বেগম জানান, গত ১৯ জুলাই দুপুরে সাভার রেডিও কলোনি এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছিল। জুমার নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বেরিয়ে বাসায় ফেরার পথে সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারায় তার ছেলে।
এসময় তারা আরো জানায়, ছেলে রাজনীতি করে না। এইচএসসি পরীক্ষার পর পড়াশোনা বন্ধ করে দেয়। এবছর নতুন করে সাভার ক্যান্টনমেন্টের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যায়ে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে আসছিলো। সে নামাজে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলো। কোন দোষে তাকে গুলি করে মারা হলো। এসময় তিনি তার ছেলে হত্যার বিচার দাবি করেন।গত ২৪ শে আগস্ট বিকেলে নিহত সাইমন ইসলাম আল-আমিন এর পরিবারের খোঁজ খবর আর সমবেদনা জানাতে তাদের ভাড়া বাড়িতে যান ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক এমপি সালাউদ্দিন বাবুর পিএস মোঃ শরিফ,সাভার পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান মাসুম, নিহত আল আমিনের বন্ধুর চাচা মোঃ শাহিন সহ আরো অনেকে।