গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিপুর (দুধাহারা) গ্রামে একজন নারীর কৃষি ফসলী জমি জোর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের খামারপাড়া মৌজায় মোছাঃ শামসুন্নাহার ও তাঁর স্বামী শহিদুল ইসলামের কবলা সূত্রে ১৫/২৩ বছরের বেশি সময় ধরে ভোগদখলকৃত কৃষি ফসলী জমির একাংশ মাটি ভরাট করে, ভূমির শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে পাশ্ববর্তী পন্ডিতপুর মৌজার ভূমি দস্যু আলী আহম্মেদ মাষ্টার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খামারপাড়া মৌজায় জেল নং-১২১, সিএস খতিয়ান নং-১৪৫, এসএ খতিয়ান নং-১৪৮, সাবেক দাগ-৩৯৯, ৩৯৪, হাল দাগ-৪৬৭, ৪৬৮, খারিজ খতিয়ান নং-৬৯২, ৬৯০ উভয় খারিজ খতিয়ানে ৩১ ও ২৪ মোট ৫৫ শতক জমির একাংশ গত ২০২৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পাশ্ববর্তী পন্ডিতপুর (চাপড়পাড়া) গ্রামের মৃত রোস্তম আলীর ছেলে মোঃ আলী আহম্মেদ মাষ্টার ও মোঃ আমিরুল ইসলাম, পিতা মৃত রোস্তম আলী, মৃত নবীন শেখের পুত্র মোঃ জব্বার, মিলে ফসলী জমিতে মাটি ভরাট করে-দখল করার চেষ্টা করে । ফলে শামসুন্নাহার বাদী হয়ে গত ২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করেন।
যার মামলা নং ১৭৭/২৩ গোবিন্দ ধারা ১৪৪/৪৫ মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় গত ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর আদালত কর্তৃক মামলার আদেশ অনুযায়ী বাদী ও বিবাদী পক্ষকে স্ব স্ব দলিল মূলে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করার আদেশ দিলেও বিবাদীপক্ষ আদালতের আদেশ অমান্য করে দখলকৃত ফসলী জমি জোরপূর্বক ভাবে জমির কিছু অংশে মাটি ভরাট করে দখলের চেষ্টা করে আসছে। পরবর্তীতে আবারও গত ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতের আদেশ অমান্য করে বিবাদী কর্তৃক কৃষি ফসলী জমিতে মাটি ভরাটের বিষয়টি জানিয়ে প্রসিকিউশন দিলে, বাদী জমিতে গিয়ে বাঁধা নিষেধ করিলে, প্রতিপক্ষ গণ তার বাঁধা না মেনে বরং, তাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ ও হুমকী ধামকী দিতে থাকে। বাদি নিরউপায় হয়ে জরুরী কল সেবা ৯৯৯ কল করলে পুলিশ কর্তৃক মাটি ভরাট কাজ বন্ধ করে দেয়। আনয়নের প্রার্থনা করলে আদালত ১৮৮ দরখাস্ত করিলে আদালত দরখাস্ত মঞ্জুর করেন। এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
কিন্তু এক বছর অতিবাহিত হলে শামসুন্নাহার তাঁর দখল কৃত জমি ফেরত না পেয়ে আদালত, পুলিশ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এমতাবস্থায় মারামারি, হুমকি-ধামকি ও গুম-খুনের আশংকায় নিজের জমির নিকট যেতে কিংবা জমিতে চাষ করতে পারছেন না তিনি।