গাইবান্ধার কোচাশহরে প্রধান শিক্ষকের ইন্ধনে লাঠি হাতে রাস্তা অবরোধ করলো শিক্ষার্থীরা।

অপরাধ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কোচাশহর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্ররা লাঠি হাতে প্রায় তিন ঘন্টা রাস্তা অবরোধ করে। এসময় পথচারীদের লাঠি দেখীয়ে ভয়ভীতি দেখায় ছাত্ররা। রাস্তা অবরোধের কারনে দীর্ঘ যানজটের ফলে সাধারন পথচারিদের ভোগান্তিতে পরতে হয়। ছাত্রদের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম উক্ত ছাত্র ছাত্রীদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়, ফলে সাধারন ছাত্র ছাত্রীরা রাস্তা অবরোধ করে।এসময় শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আইয়ুব হোসেন গত পাঁচ মাস পূর্বে ছাত্রদের নিকট হতে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য পাঁচ শত করে টাকা তোলেন। সেই টাকা স্কুলের হিসাব নম্বরে রাখেননি। রেজিষ্ট্রেশনের সময় চলে আসলে ছাত্রদের নিকট হতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পূনরায় টাকা দাবি করেন। রেজিস্ট্রেশন রেজিস্ট্রেশনের সময় শেষ হওয়াতে ছাত্ররা রেজিস্ট্রেশনের কথা শিক্ষককে জানালে গত ৬ অক্টোবর সকালে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ছাত্রদের বলেন তোমাদের লাল কাগজ দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দিব। এ কথা শুনে ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুলের ব্রেঞ্চ ভেঙ্গে ব্রেঞ্চের পায়া গুলো হাতে নিয়ে রাস্তায় গিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।
এসময় অন্য শিক্ষকরা ছাত্র ছাত্রীদের এমন কান্ড দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। শিক্ষকরা বাধা না দেওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক হিসাবে নিচ্ছে না সাধারন মানুষ। সাধারণ সচেতন মহল বলছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজের স্বার্থ হাসিলে ছাত্রদের ব্যবহার করছে। তাই তারা হাতে লাঠি নিয়ে রাস্তা অবরোধ করছে। প্রতিনিয়ত শিক্ষক দ্বন্দ্বের ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আইযুব হোসেনকে ফোন করলে তিনি বলেন, আমি বিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাথে কথা বলছি দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে ইনশাল্লাহ।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রেজিস্ট্রেশন করার সময় রয়েছে।
এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, যেহেতু টাকা আমি নেইনি আমার(তার) অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়েছেন, তাই আমি (তিনি ) ছাত্রদের দাবি আদায়ের জন্য বলেছি।এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের দাবি কোচার শহর দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজের ইচ্ছায় ছাত্রদেরকে উস্কে দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *