কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ে বিরূপ আচরণের শিকার স্টার্টআপের বিনিয়োগ ফিরিয়ে দিতে পুনর্বিবেচনা করা হবে: নাহিদ ইসলাম

জাতীয়

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ে যেসব স্টার্টআপ শিক্ষার্থীদের পক্ষ নেওয়ায় বিরূপ আচরণের শিকার হয়েছে, তাদের বিনিয়োগ নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা হবে।

আজ সোমবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

বৈঠকের আলোচনা প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো পুনর্বিবেচনা করতে হবে। এ ছাড়া স্টার্টআপ, যারা শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিল, বিরূপ আচরণের শিকার হয়েছে, বিনিয়োগ বন্ধ করা হয়েছে, তার নিন্দা জানানো হয়েছে। স্টার্টআপদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান ‘টেন মিনিট স্কুল’-এর জন্য পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব গত ১৬ জুলাই বাতিল করে আইসিটি বিভাগের আওতাধীন সরকারি সংস্থা স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড। টেন মিনিট স্কুলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আয়মান সাদিক সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের পক্ষ নিয়ে নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন। এর পরই বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল করা হয়।

আন্দোলনকালে ইন্টারনেট শাটডাউন নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে গতকাল রোববার। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা। এর পেছনে যদি সাবেক প্রতিমন্ত্রী বা কোনো সংস্থাপ্রধান জড়িত থাকেন, তাহলে তাঁদের বিচারের আওতায় আনা হবে কি না—তা জানতে চাওয়া হয় নাহিদ ইসলামের কাছে। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আজকের মধ্যে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন আসবে। এরপর যদি মূল্যায়ন করে আরও তদন্ত প্রয়োজন হয়, সেটি করা হবে। এতে যদি সরকারের কোনো লোক, সংস্থা বা মন্ত্রী কেউ জড়িত থাকেন, অবশ্যই বিচার করা হবে। ইন্টারনেটে অবাধে তথ্যপ্রবাহ হয়, এটি মানবাধিকার। কিন্তু এই ইন্টারনেট বন্ধ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে, শত শত মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছে।’

আইসিটির প্রকল্পসহ বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি নিয়ে নাহিদ বলেন, ‘এ বিভাগের প্রকল্পে দুর্নীতি ও অবহেলার সুযোগ নেই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *