কারো অধিকার হরণ জুলুমের অন্তর্ভুক্ত

Uncategorized

গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির :

 

মানুষের প্রতি জুলুম করা বড় অপরাধ। যার যা প্রাপ্য তাকে সেই প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার নাম জুলুম। সে হিসেবে কারও অধিকার হরণ, বিনা অপরাধে নির্যাতন, আর্থিক, দৈহিক ও মর্যাদার ক্ষতিসাধন, মানহানিকর অপবাদ দেওয়া, দুর্বলের ওপর নৃশংসতা চালানো,  অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ হরণ, অশ্লীল ভাষায় গালাগাল, উৎপীড়ন বা যন্ত্রণা দেওয়া ইত্যাদি কাজ জুলুমের অন্তর্ভুক্ত। মজলুমের দোয়া মহান আল্লাহর দরবারে সরাসরি পৌঁছে যায়। মহান আল্লাহ মজলুমের দোয়া খুব দ্রুত কবুল করেন। সুতরাং মানুষের উচিত, দুনিয়ার কোনো সৃষ্টির প্রতি জুলুম- অত্যাচার না করা। হযরত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া আল্লাহর কাছ থেকে ফেরত আসে না। এক. ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া। দুই. ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া। তিন. মজলুমের দোয়া। মহান আল্লাহ

তাদের দোয়া মেঘমালার ওপরে তুলে নেন এবং তার জন্য আসমানের দরজাগুলো খুলে দেন। মহান রব বলেন, আমার সম্মানের শপথ, কিছুটা বিলম্ব হলেও আমি তোমাকে অবশ্যই সাহায্য করব। (তিরমিজি)। জুলুম সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘আর তোমরা জালেমদের প্রতি ঝুঁকে পড়বে না, জালেমদের সহযোগী হবে না, তাহলে আগুন (জাহান্নামের) তোমাদেরও স্পর্শ করবে।’ (সুরা হুদ ১১৩)। সুতরাং এ মন্দ কর্ম টি থেকে আমাদের সকলকে দূরে থাকতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সহায় হউন, আমিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *