এটা ভারত, মোদির ভারত, বাংলাদেশ না : ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি ভারতেও হতে পারে— এমন মন্তব্যকারীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। তিনি বলেছেন, এটা বাংলাদেশ না, এটা ভারত, মোদির ভারত।

রোববার (১১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা ভারতে বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি ‘প্রত্যাশা’ করে তাদের সমালোচনা করে দেশটির কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেছেন, এটি বাংলাদেশ নয়, এটি নরেন্দ্র মোদির ভারত।

শনিবার যোধপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শেখাওয়াত বলেন, কিছু লোক মন্তব্য করছে— ভারতে বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। এটি দুর্ভাগ্যজনক।

তিনি বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের মতো ঘটনা ভারতে ঘটার কথা বলেছে। তারা সম্ভবত জানে না এটি বাংলাদেশ নয়, এটি ভারত, এবং মোদিজির ভারত। যারা এটি করবে তাদের বোঝা উচিত তাদের কী হবে।’

যদিও এই বক্তব্য দেওয়ার সময় শেখাওয়াত কারও নাম করেননি, তবে তিনি স্পষ্টতই সিনিয়র কংগ্রেস নেতা সালমান খুরশিদ এবং মণি শঙ্কর আইয়ারের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিপরীতেই এই কথা বলেন।

গত মঙ্গলবার একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে খুরশিদ বলেন, ‘ওপরে ওপরে সবকিছু স্বাভাবিক মনে হলেও’ বাংলাদেশে যা ঘটছে তা ভারতে ঘটতে পারে। এছাড়া আইয়ারও বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভারতের সাথে তুলনা করেন।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে শেখাওয়াত বলেন, বাংলাদেশে যা কিছু ঘটেছে তা ছিল ‘অপ্রত্যাশিত এবং অগ্রহণযোগ্য… ভারত সরকার ক্রমাগত এটির ওপর নজর রাখছে। আইনশৃঙ্খলা সঠিকভাবে ফিরে আসার পরে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া উচিত …’।

উল্লেখ্য, চাকরির কোটা নিয়ে কয়েক সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভে ৪০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হওয়ার পর গত সোমবার ৭৬ বছর বয়সী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাকে ৪৫ মিনিটের আলটিমেটাম দেওয়ার পর তিনি ঢাকা থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যান।

সেখান থেকে সম্ভবত যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নিতে তিনি লন্ডনে যাবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

তবে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের যে অভিবাসন আইন রয়েছে; সেখানে কোনো ব্যক্তির যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করে এসে রাজনৈতিক বা সাধারণ আশ্রয় নেওয়ার বিধান নেই।

এছাড়া কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হওয়া শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসা যুক্তরাষ্ট্র বাতিল করেছে বলে নিশ্চিত করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *