ইসরায়েলে চার বছরের শিশুর হাতে ভেঙে গেল ৩,৫০০ বছরের পুরোনো নিদর্শন।

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলের হাইফার হেচট মিউজিয়ামে ঘুরতে এসে চার বছর বয়সী একটি শিশুর হাতে ৩,৫০০ বছরের পুরোনো এক জার ভেঙে গেছে। এই জারটি ব্রোঞ্জ যুগের নিদর্শন এবং খ্রিস্টপূর্ব ২২০০ থেকে ১৫০০ সালের মধ্যে তৈরি করা হয়েছিল। জাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জারটি আগে অক্ষত ছিল, কিন্তু শিশুটির কৌতূহলের কারণে এটি দুর্ঘটনাক্রমে ভেঙে যায়।

জারটি কোনো কাচের নিরাপত্তাবেষ্টনী ছাড়াই প্রদর্শন করা হচ্ছিল। জাদুঘরের নীতিমালা অনুযায়ী, প্রত্নবস্তুগুলোকে কোনো বাধা ছাড়াই প্রদর্শন করা হয়, যা দর্শনার্থীদের বিশেষ আকর্ষণ দেয়। শিশুটি কৌতূহলী হয়ে জারটি সামান্য টেনে ধরেছিল, এতে সেটি পড়ে ভেঙে যায়।

শিশুটির বাবা অ্যালেক্স বলেন, তিনি ঘটনার পর চমকে গিয়েছিলেন এবং ভেবেছিলেন তার সন্তান এমন কিছু করেনি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে তারা জাদুঘরের নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে কথা বলেন।

জাদুঘরের পক্ষ থেকে ঘটনাটিকে একটি দুর্ঘটনা হিসেবে দেখা হয়েছে এবং শিশুটির পরিবারকে পুনরায় প্রদর্শনীতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ভেঙে যাওয়া জারটি মেরামতের জন্য বিশেষজ্ঞ নিযুক্ত করা হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই এটি তার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।

ইসরায়েলের হাইফার হেচট মিউজিয়ামে ঘটে যাওয়া এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের ক্ষতি ঘটিয়েছে। ৩,৫০০ বছর পুরোনো এই জারটি ছিল ব্রোঞ্জ যুগের একটি বিরল নিদর্শন, যা খ্রিস্টপূর্ব ২২০০ থেকে ১৫০০ সালের মধ্যে তৈরি হয়েছিল। জাদুঘরটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই জারটি এতদিন ধরে অক্ষত ছিল এবং এটি অত্যন্ত মূল্যবান প্রত্নবস্তু হিসেবে বিবেচিত হতো।

খবরে বলা হয়েছে, শিশুটি জারের ভেতরে কী আছে তা নিয়ে কৌতূহলী হয়ে সেটি সামান্য টেনে ধরে, এতে জারটি মাটিতে পড়ে ভেঙে যায়। জাদুঘরের নিরাপত্তাবেষ্টনী ছাড়া প্রত্নবস্তু প্রদর্শন করার নীতিমালার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। জাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের বিশ্বাস যে কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই দর্শনার্থীদের জন্য নিদর্শনগুলোকে উন্মুক্ত রাখার মধ্যে একটি বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে।

জাদুঘরটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি একটি দুর্ঘটনা ছিল এবং প্রত্নবস্তুটি মেরামতের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। একটি বিশেষজ্ঞ দলকে নিযুক্ত করা হয়েছে, যারা অল্প সময়ের মধ্যে জারটিকে তার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবে। জাদুঘর কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, তারা এই ধরনের বিরল ঘটনার পরও তাদের নীতিমালা পরিবর্তন করবে না এবং দর্শনার্থীদের জন্য প্রত্নবস্তুগুলোকে নিরাপত্তাবেষ্টনী ছাড়া প্রদর্শন অব্যাহত রাখবে।

শিশুটির পরিবারও জানিয়েছে, তারা এই ঘটনার জন্য দুঃখিত এবং ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *