রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কুরস্কে অঞ্চলে ইউক্রেনের বাহিনী ও রুশ সেনাদের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। ইউক্রেন দাবি করেছে, রাশিয়ার ভেতরে এক হাজার বর্গকিলোমিটারের বেশি ভূখণ্ড তারা দখলে নিয়েছে। এদিকে রাশিয়া অভিযোগ করেছে, পশ্চিমাদের সমর্থনে ইউক্রেন সীমান্ত অঞ্চলে অনুপ্রবেশে করেছে।
রাশিয়ার পার্লামেন্টের এমপি মিখাইল শেরেমেত সতর্ক করেছেন যে, পশ্চিমাদের সমর্থনে ইউক্রেন সীমান্ত অঞ্চলে ঢুকে যে হামলা শুরু করেছে, তা বিশ্বকে সর্বাত্মক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা আরআইএ বার্তা শেরেমেতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর পশ্চিমা সামরিক সাজসরঞ্জাম, পশ্চিমা গোলাবারুদ ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হওয়া এবং রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলায় বিদেশিদের অংশগ্রহণের অকাট্য প্রমাণ দেখে কেউ এই সিদ্ধান্তেই পৌঁছাতে পারে যে, বিশ্ব তৃতীয় যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৬ আগস্ট ইউক্রেনের সেনারা কুরস্ক অঞ্চলে ঢুকে পড়ে। এরপর গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার বলেন, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে তারা একটি সামরিক কমান্ড সেন্টার স্থাপন করেছেন।
রাশিয়ার পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষা কমিটির সদস্য শেরেমেত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথার প্রতিধ্বনি করে বলেছেন, ন্যাটো দেশগুলো ইউক্রেনের এই আগ্রাসন পরিকল্পনায় সবুজ সংকেত দিয়েছে।
এ ছাড়া পুতিনের সহযোগী নিকোলাই পাত্রুশেভও শুক্রবার ইজভেস্তিয়া পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে একই অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ায় ঢুকে ইউক্রেনের সেনাদের হামলার পেছনে পশ্চিমাদের হাত আছে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান ঘোষণা দেন পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা ৯০৪ দিনের মতো চলছে এই যুদ্ধ। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাতের পরিমাণ অনেক বেড়েছে।