আসাদুজ্জামান খান কামাল-বেনজীরসহ পুলিশের ১২ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নামে মামলা

জাতীয়

নোয়াখালীতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ ১২ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-নির্যাতনের মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি করা হয়েছে আরও ছয়জনকে।

মামলার অপর আসামিরা হলেন – সাবেক স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সাইফুল ইসলাম, নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, তৎকালীন জেলা ডিবির পরিদর্শক মো. সাবজেল হোসেন, চৌমুহনী ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জামাল হোসেন, বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান পাঠান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন ও মোস্তাক আহমেদ এবং সিআইডির পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন। এছাড়া ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ মো.ফজলে এলাহী ভূঁইয়া মামলাটি জুডিসিয়াল তদন্তের জন্য চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে, গত ২৯ আগস্ট জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজীম সুমন বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। জেলা জজ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক শাহ আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিচারক।

 

মামলায় বলা হয়েছে, গত ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর আসামিদের যোগসাজশে বাদীকে মিথ্যা মন্দির ভাঙার মামলায় রাঙামাটি থেকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে আসা হয়। পরে আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদের নামে অকথ্য নির্যাতন করে এবং ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে বাদীর আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে এক কোটি টাকা চাঁদা আদায় করেন। মামলার বাদী মঞ্জুরুল আজীম সুমন জেলা যুবদলের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *