আলোচনায় সঙ্কট সমাধানের আহ্বান অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের

জাতীয়

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলমান সংকট আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা। রোববার মহাখালী ডিওএইচএসের রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে (রাওয়া ক্লাব) এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূইয়া এই আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ৪৮ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তার একটি তালিকা সাংবাদিকদের দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান এম নুর উদ্দিন খান, মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, কায়সার ফজলুল কবির, জামিল ডি আহসান, রেজাকুল হায়দার, মুজাহিদ উদ্দিন, আবুল কালাম হুমায়ুন কবির প্রমূখ। লিখিত বক্তব্যে ইকবাল করিম ভূইয়া বলেন, গত তিন সপ্তাহ যাবৎ বাংলাদেশে হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন, গুম, গণগ্রেপ্তার চলছে।

“এসব ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন, মর্মাহত এবং ব্যথিত।”

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও এর ব্যবস্থাপনা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সহ্যসীমার বাইরে চলে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসবের প্রতিকার ঘটাতে জনগণ আত্মোৎসর্গেও পিছ পা হচ্ছে না। “এসব ঘটনার জন্য দায়িদের বিচারের মাধ্যমে সাজা নিশ্চিত করে পুরো ব্যবস্থার মধ্যে স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা না করা গেলে সমাজে শন্তি, শৃঙ্খলা ও আস্থা ফিরিয়ে আনা যাবে না।” তিনি বলেন, সুস্থ মস্তিস্কের কোনো বিবেকবান মানুষের পক্ষে দেশে এমন একটা ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’ মেনে নেওয়া যায় না। “আমরা নিজেরা নিজেদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হতে পারিনা। আমাদের দেশটাকে, এই প্রিয় রাজধানী ঢাকা ও জেলাশহরগুলোকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে দিতে পারি না।”
সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একটি রাজনৈতিক সংকটকে সামরিকীকরণের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, আমরা সশস্ত্রবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এর তীব্র বিরোধিতা করছি।”
সীমান্ত অরক্ষিত রেখে ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলন দমনের জন্য সীমান্ত থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিজিবি সদস্য প্রত্যাহার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন এই সাবেক সেনাপ্রধান।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরকে সেনা ছাউনিতে ফিরিয়ে নেওয়ারও আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *