আমস্টারডামে গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদ সমাবেশে দাঙ্গা পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ

আন্তর্জাতিক

দ্য হেগ, ৯ মে, ২০২৪ (বস ডেস্ক) : আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের ব্যারিকেডগুলো সরিয়ে নিতে গেলে ডাচ দাঙ্গা পুলিশ বুধবার ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সোমবার থেকে এখানে এই অস্থিরতার শুরু হয়েছে।
পুলিশ মধ্যরাতে (২২০০ জিএমটি) বলেছে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ডাচ রাজধানীর কেন্দ্রে একটি প্রধান সড়কে ‘সহিংসতা, ধ্বংস, হামলা ও উসকানির’ জন্য ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় টেলিভিশনের ছবিতে দেখা গেছে, অফিসাররা আমস্টারডাম শহরের কেন্দ্রে বিন্নেনগাস্তুইস ভবনের সামনের একটি এলাকা থেকে ব্যারিকেট সরিয়ে নেয়ার সময় দাঙ্গার পোশাক পরা কয়েক ডজন পুলিশ বিক্ষোভকারীদের একটি দলের সাথে হাতাহাতি করছে।
পুলিশ বলেছে, বিক্ষোভকারীরা রোকিন নামক স্থানীয় একটি প্রধান রাস্তা অবরোধ করায় সেখানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে এবং বিক্ষোভকারীরা এ সময় ‘দাঙ্গা পুলিশকে লক্ষ্য করে অ্যামোনিয়া (বর্ণহীন অত্যন্ত বিরক্তিকর গ্যাস যার তীব্র শ্বাসরোধকারী গন্ধ থাকে) নিক্ষেপ করে’।
শিক্ষার্থীরা বলেছে,তারা আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়কে (ইউভিএ) গাজা যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানাচ্ছে এবং তারা মার্কিন ক্যাম্পাসে চলমান বিক্ষোভে অনুপ্রাণিত হয়েছে।
মধ্যরাতের একটু আগে, আমস্টারডাম পুলিশ এক্স-এ বলেছে, পরিস্থিতি ‘শান্ত’ এবং বেশিরভাগ বিক্ষোভকারী এলাকা ছেড়ে গেছে।
তারা আগে বলেছিল, আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি বিঘিœত করা এবং সম্পত্তি ধ্বংস করার অভিযোগ আনার পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে মেয়রের অনুমোদন পেয়েছে।
স্থানীয় এপি৫ চ্যানেলের ছবিতে দেখা গেছে, পুলিশ বেশ অনেক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করছে, যাদের সংখ্যা কয়েকশ ছিল।
চিত্রগুলোতে দেখা গেছে, ব্যারিকেডগুলোকে একটি লোডার ট্রাক ঠেলে একটি খালে ফেলে দেয়ার সময় পুলিশ ক্যাম্পাসে থাকা বিক্ষোভকারীদের একটি ছোট এবং সোচ্চার দলকে ঘিরে রেখেছে। বিক্ষোভকারীরা ‘মুক্ত ফিলিস্তিন’ লেখা প্ল্যাকার্ড নেড়েছিল এবং পুলিশকে ‘শ্যাম অন ইউ’ বলে চিৎকার করে।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। অন্তত ১৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আমস্টারডাম সিটি কাউন্সিলে শুক্রবার চলমান বিক্ষোভ সম্পর্কে একটি জরুরি বিতর্কের কথা রয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে,উট্রেচ্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস সহ নেদারল্যান্ডসের অন্যত্র বিক্ষোভকারীরা জড়ো হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *