এবার ৪১ বছরে পা দেবেন মাশরাফি। জাতীয় দলের হয়ে তিনি সবশেষ খেলেছেন ২০২০ সালে। তবে ঘরোয়া লিগগুলোর নিয়মিত মুখ ছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও গেল বছরের মে মাসের পর আর দেখা যায়নি তাকে। দীর্ঘ আট মাস পর আবার মাঠে ফিরেছেন বিপিএল দিয়ে। এছাড়া এই আসরে মাঠে নামার আগে নিয়মিত অনুশীলন গুলোতেও ছিলেন না মাশরাফি। তাই তার ফিটনেসে যে খানিকটা ঘাটতি রয়েছে তা অনুমান করাই যায় সঙ্গে রয়েছে হাঁটুর চোট। যদিও এসব কিছু পাত্তা দিচ্ছে না ফ্রাঞ্চাইজিটি। সিলেটের মালিক পক্ষ এবং খেলোয়াড়দের কাছে মাশরাফি মাঠে থাকলেই হলো। তবে বিষয়টিকে ভালো ভাবে দেখছে না আশরাফুল।
গতকাল রংপুর রাইডার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্সের ম্যাচের পর ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে আলোচনায় আশরাফুল নিজের সাবেক সতীর্থকে নিয়ে বলেন, ‘ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাসটিক আমরা তার (মাশরাফির) নাম দিয়েছি, অসাধারণ লিডার। সে সবার কথা শুনে, খেলাটা ভালো বুঝে। কিন্তু অধিনায়ক যদি নিজে পারফর্ম করে নেতৃত্ব দেওয়া সহজ হয়। আট মাস সে ক্রিকেটের বাইরে ছিল, নির্বাচনের জন্য ব্যস্ত ছিল। এক দিন মনে হয় অনুশীলনে এসেছিল বল করেছিল কি না জানি না। নেমেই প্রথম বলে উইকেট পেয়েছে (হাসি)। আসলে ওকে যখন মোকাবিলা করে একটা তরুণ খেলোয়াড় তারা আসলে দ্বিধায় থাকে আমি মারব কি মারব না। আউট হলে একটা প্রেস্টিজের বিষয় আছে। এইসব জিনিসের কারণে হয়তো-বা নরমাল খেলতে পারে না।’
এ সময় মাশরাফির জন্য একজন তরুণ পেসারের সুযোগ নষ্ট হচ্ছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘সে কিন্তু খেলতে চাচ্ছিল না, মালিকরা চাচ্ছে সে মাঠে দাঁড়িয়ে থাকুক। এটা আমার মনে হয় এই টুর্নামেন্টটাকে ছোট করা হচ্ছে। কারণ এই ধরনের টুর্নামেন্ট পুরো বিশ্ব জুড়ে দেখছে। এখানে আমাদের আগামীর খেলোয়াড় আসবে। এই যে ছয় মাস পর আমাদের বিশ্বকাপ। তাদের (সিলেট স্ট্রাইকার্স) দলে কিন্তু রেজাউর রহমান রাজা বসে আছে। যার একটা সুযোগ ছিল এই টুর্নামেন্টে ভালো করলে বিশ্বকাপে সম্ভাবনা থাকত। সে জায়গায় একটা মিসিং।’
চলমান বিপিএলের শুরু থেকে খেলার কথা ছিল না সাবেক টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার। কারণ চোট সমস্যায় ভুগছেন তিনি। এটা সারাতে অস্ট্রেলিয়ায় যাবেন বলেও শোনা গিয়েছিল। তবে সেখানে না গিয়ে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই খেলতে দেখা যাচ্ছে তাকে। অবশ্য তিনি নিয়মিত পেস বোলার হলেও এখন পর্যন্ত সেই রূপে দেখা যায়নি তাকে। প্রথম ম্যাচে করেছিলেন কয়েক কদম দৌড়ে বোলিং আর গতকাল তো হাতেই তোলেননি।