আত্মগোপনে আছে নড়াইলের সাজাপ্রাপ্ত আসামী আব্দুর রহমান খান রনি

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি :

নড়াইলের লোহাগড়া থানার রায়পাশা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মৃত মো. দুলাল খান ওরফে সবুর এর ছেলে আব্দুর রহমান খান রনি, কর্মসংস্থানে উদ্দেশ্যে ২০২০ ইং সালে ঢাকায় আসে। একই থানায় গ্রামের বাড়ী হবার সুবাদে শিক্ষানবিশ আইনজীবি তৌহিদুর রহমানের হাত ধরেই পথ চলা শুরু করে রাজধানী শহরে।

কিছুদিনের মধ্যেই নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য শুরু করে লুব্রিকেটের (মবিল বেচা-কেনা) ব্যাবসা। কিন্তু পর্য়াপ্ত মুলধন না থাকায় আশ্রয় নেয় গ্রামের প্রতিবেশি শিক্ষানবিশ আইনজীবি তৌহিদুর রহমানের।

পরে কিছুদিনের মধ্যেই রনি ৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চুক্তিপত্র করে অংশিদারিক ব্যাবয়িক পার্টনারশীপ করে নেয় আইনজীবি তৌহিদুর রহমানকে।

কিন্তু বাঁধসাধে তখনি যখন ব্যবসায় আশানুরূপ লাভ হওয়া সত্ত্বেও লভ্যাংশ দিতে গড়ীমসি শুরু করে দেন প্রতারক রনি।

এভাবেই দিন মাস বছর পেরিয়ে যায়, পরে করোনা কালিন সময় শেষ হয়ে গেলে ভুক্তভোগী আইনজীবী তৌহিদুর রহমান ব্যবসায়ে মূলধনের টাকা ফেরত চাইলে আব্দুর রহমান খান রনি তাকে মোট ৪ টি চেক স্বহস্তে স্বাক্ষর করে প্রদান করেন।

কিন্তু ভাগ্যের ফের চেক সমূহ বার বার ব্যাংক থেকে প্রত্যাখান হলে চেকের মামলা দায়ের করা হয় রাজধানী ঢাকায়।যার মামলা নং যথাক্রমে ৪২২/২০২৪ এবং ৪২৩/২০২৪ (যুগ্ন দায়রা জজ আদালত) দীর্ঘ ১ বছর বিচারকালীন আব্দুর রহমান খান রনি বিচারিক আদালতে হাজিরা দিতে থাকেন। কিন্তু যখনি বিজ্ঞ আদালত সাক্ষ্য গ্রহনের পর্যায়ে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন ঠিক তখনি আদালতের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আর আদলতে হাজির হয়নি প্রতারক আব্দুর রহমান খান রনি।

আদালত সূত্রে জানায়, প্রতারক রনির নামে আরো অনেক মামলার কার্যক্রম বহাল থাকিলেও তাকে আটক করা সম্ভব হচ্ছেনা। এদিকে ব্যাবসায়িক লেনদেনের কারনে খুঁজে বেড়াচ্ছেন নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার  বিভিন্ন ব্যাবসায়ী এবং স্হানীয় গন্যমান্য লোকজন।

সম্প্রতি চেক প্রত্যখানের অভিযোগে ১৫/১০/২০২৪ইং তারিখে এবং ৩০/০৯/২০২৪ইং তারিখে ঢাকার ২য় যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে দুটি মামলাতে যথাক্রমে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ৩ মাসের বিনাশ্রম জেল এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১ মাসের জেল দেয়া হয় প্রতারক মোঃ আব্দুর রহিম খান রনি কে।

তবে আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী শিক্ষানবিশ আইনজীবী তৌহিদুর রহমান। সেই সাথে আদালতের রায়ে আরো সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মামলাটির বাদীপক্ষের পরিচালনাকারী সিনিয়র এডভোকেট খন্দকার আমিনুর রহমান এবং এডভোকেট রিজভী হাসান পরশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *