আজ বাতিল হতে পারে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন

রাজনীতি

জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের নির্বাহী আদেশ সরকার প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে। বৈধতা ফিরে পেতে আবেদন করেছে জামায়াত ও শিবির। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) বা দু-এক দিনের মধ্যে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন বাতিল হতে পারে বলে জানা গেছে।

‘যুক্তিসহ লিখিত আবেদন করা হয়েছে। জামায়াত ও শিবিরকে বৈধতা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’ জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) জামায়াত ও শিবিরের পৃথক আবেদন পাওয়ার শুনানি হয়েছে। এতে তাদের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। তবে কখন, কোথায় এ শুনানি হয়েছে, তা জানা যায়নি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মতামত নিয়ে জামায়াত-শিবিরের বৈধতা ফিরিয়ে দেওয়ার ফাইল বুধবার (২৮ আগস্ট) আইন মন্ত্রণালয়ে যেতে পারে। এর পর প্রধান উপদেষ্টার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর গেজেট প্রকাশিত হবে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার গত ১ আগস্ট ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ (১) ধারা অনুযায়ী জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে। কিন্তু এর পরই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতন হয়। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনে জামায়াত-শিবিরের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। নিষিদ্ধ সংগঠন হয়েও ৫ আগস্ট থেকে জামায়াত প্রকাশ্যে তৎপরতা চালাচ্ছে এবং সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বৈঠকসহ সব কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে।

দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান একাধিকবার বিভিন্ন গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারই অবৈধ ছিল। ফলে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনও অবৈধ।’

জানা যায়, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৯ ধারা অনুযায়ী, সরকার কোনো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করলে, এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে যুক্তি উপস্থাপন করে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে। যা শুনানি করে ৯০ দিনের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি করবে সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *