মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি :
যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা নাজেহাল অবস্থা। অন্যদিকে দুর্নীতির মাধ্যমে চিকিৎসক গণ আংগুল ফুলে কলাগাছে রুপান্তর হয়ে পড়ছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাসপাতালে চিকিসা সেবা নিতে আসা রোগীসহ স্বজনরা বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। এক একটা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কমিশন বানিজ্যের কারণে ডাক্তারদের খেয়ালখুশি মতো টেস্ট বানিজ্যের এক রমরমা কারবার দীর্ঘদিন চলে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়না কোন আইনি পদক্ষেপ। ফলে অনিয়ম দুর্নীতির বেড়াজালে সরকারি ওই স্বাস্থ্য প্রতিষ্টানটি দিন দিন ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে সূত্রে আরো জানা গেছে প্রতিমাসে রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ঔষধ থেকেও রোগীদের বঞ্চিত করার একাধিক তথ্য রয়েছে। সকল চিকিৎসকগণ সিন্ডিকেট করে সরকারি ঔষধ লোপাট করে উপজেলার বিভিন্ন ঔষধ ফার্মেসীতে গোপনে বিক্রি করে দেয়। যে কারনে রোগীরা সরকারি ঔষধ থেকেও বঞ্চিত হয়। লোক দেখানোর জন্য স্বল্প ঔষধ রোগীদের মাঝে বিতরণ করা হলেও মোটা অংশের দামি দামি ঔষধ বিক্রি করে দেওয়া হয়। এমনকি মাসে চাহিদার চেয়েও বেশি ঔষধের বাজেট দিয়ে ঔষধ সরবরাহ করার একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। যে ঔষধ রোগীদের ফ্রি বিতরণের নিয়ম থাকলেও তা চলে যায় ডাক্তার সিন্ডিকেট এর কবলে। সঠিক তদারকির অভাবে সরকারি ঔষধ লোপাট করে বিক্রির সাথে জড়িয়ে পড়েছে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। সিন্ডিকেট করে অভয়নগরবাসীর সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালনা করা চিকিৎসকেরা বহুল প্রতারণা করে চললেও দেখার কেউ নেই। এমনকি সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষও এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়না। ফলে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতম হচ্ছে অভয়নগর উপজেলার স্বাস্থ্য সেবার নামে সাধারণ মানুষের সাথে অভিনব প্রতারণা। অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারদের কারসাজিতে রোগীদের জন্য খাবার বরাদ্দ থাকলেও সঠিক ভাবে খাবার বন্টন করা হয়না। সরেজমিনে ও তথ্য সূত্রে জানা যায়, রোগীদের সাথে খাবার নিয়ে কারসাজি দীর্ঘদিন চলমান রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ৫০ জনের খাবার তিন বেলা বিতরণের নিয়ম থাকলেও হাতে গোনা ২৫/৩০ জন রোগীকে খাবার দেওয়া হয়। বাকি খাবার লোপাট করার অভিযোগ দীর্ঘদিন থাকলেও নেওয়া হয়না কোন পদক্ষেপ। আওয়ামী লীগ সরকারের কিছু কতিপয় ক্ষমতার দাপটে ডাক্তার ও আওয়ামী লীগ নেতাদের যোগসাজশে দীর্ঘদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম দুর্নীতির আখড়াই পরিনত হয়ে রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার পতন হওয়ার পরও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ হওয়ার কোন পথের দেখা মিলছেনা। দিনেরপর দিন অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা রোগীদের সাথে সেবার নামে করা হয় গলাকাটা বানিজ্যে অপরদিকে অনিয়ম দুর্নীতির বেড়াজালে বন্ধি হয়ে পড়েছে সরকারি ওই স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান। এসব অনিয়মের কারণ হিসাবে দেখা যায় দীর্ঘদিন অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হয়না। অন্যদিকে যশোর জেলা সিভিল সার্জন যশোরে যোগদান করার পর এখনো পযন্ত অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ নানাবিধ বিষয়ে কোন পরিদর্শনসহ কোন পদক্ষেপ নেওয়ার মতো কাজ অভয়নগরবাসী চোখে পড়েনি। যে কারনে সাধারণ মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। জরুরি ভাবে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকল অনিয়ম তদন্ত করে কঠোর পদক্ষেপ নিতে জেলা সিভিল সার্জনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল। এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে 01715299443 একাধিকবার ফোন করেও রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে যশোর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মাহমুদুল হাসান এর ০১৭০১২৪৮১৬০ নং একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।