অভয়নগরে মন্দির ধ্বংস করে নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন : জনগণের ভোগান্তি

অপরাধ

মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি :
যশোরের অভয়নগর উপজেলার চেঙ্গুটিয়া ঘোপের ঘাট কালীবাড়ি মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ সাহা ক্ষমতার জোরে দীর্ঘদিন ভৈরব নদ থেকে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে লুটপাট করছে লাখ লাখ টাকা। এমন অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চেঙ্গুটিয়া ঘোপের খেয়াঘাট যে ঘাটদিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ নদীতে নৌকা পারাপার হয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থাকা দেবাশীষের ক্ষমতার জোরে দীর্ঘদিন মন্দিরের উপর দিয়ে ড্রেজার মেশিনের পাইপ সেট করে নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করার কারণে সরকারি ওই খেয়াঘাটটি ভেঙেচুরে একাকার হয়ে পড়েছে। ফলে হাজার হাজার মানুষের চলাচল করতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তথ্য সূত্রে আরো জানা গেছে মন্দির রক্ষা খেয়াঘাট উন্নয়নসহ মানুষের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে মন্দির ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক তিন কোটি টাকা বরাদ্দ করে ওই মন্দিরের নদীর পাড় ব্লকদিয়ে সংস্কার করা হয়। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, ওই বেআইনি ভাবে মন্দিরের উপর দিয়ে বালি উত্তোলন করার কারণে মন্দির ও খেয়াঘাট ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরাদ্দকৃত উন্নয়নের অর্থ ও সংস্কার সব ধ্বংস হয়ে গেছে। এবিষয়ে ওই এলাকার একাধিক পরিবার অভিযোগ করে জানিয়েছেন, ওই ক্ষমতাধর ব্যক্তির অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করার কারণে রাতে আমরা ঘুমাতেও পারিনা। কিছু বলতে গেলে জুলুম অত্যাচারের শেষ থাকেনা। চেঙ্গুটিয়া বাজারের একজন ব্যবসায়ী নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দালালি করা দেবাশীষের কারণে আমাদের ঘোপের ঘাট কালীবাড়ি মন্দির সহ খেয়াঘাট এতোটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। সূত্রে জানা গেছে, মন্দিন কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ সাহা মন্দির কমিটির কিছু সদস্যকে টাকা দিয়ে ওইসব অবৈধ-বেআইনী কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। যাতে কেউ মুখ না খোলে বা প্রতিবাদ না করে। ওই এলাকার সাধারণ মানুষ ও সচেতন নাগরিকরা দাবি করে বলেছেন, অনতিবিলম্বে ওইসব অবৈধ কারবার বন্ধ করে। কঠোর পদক্ষেপসহ অবৈধ-বেআইনী ভাবে বালি উত্তোলন করে মুনাফা লুটপাট কারির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে ঘোপেরঘাট কালীবাড়ি মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ বলেন, আমি মন্দির কমিটির কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছি, বি আই ডাব্লিউ কে নিয়মিত খাজনার টাকা পরিশোধ করে বালি উত্তোলন করি। নদী থেকে বালি উত্তোলনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন আমি কার্গো করে বাহির থেকে বালি এনে বালি উত্তোলন করি। এবিষয়ে মন্দির কমিটির সভাপতি কমেলেশ সাহার মুঠোফোনে কথা হলে তিনি মন্দির ভাড়া দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, মন্দির উপর দিয়ে বালি উত্তোলনের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়েছে কিছু পয়সা আসে তাতে মন্দির উন্নয়ন হয়। আর মন্দিরের সাইট আগেই ভেঙে গেছে শুধু বালি উত্তোলন করার জন্য ভাঙেনি অন্যকারণে ভেঙেছে। এবিষয়ে ভৈরব নদের দ্বায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিএর মাসুদ জানান, কেউ যদি অবৈধ বেআইনী ভাবে বালি উত্তোলন করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *