মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি :
যশোরের অভয়নগরে বসতবাড়িতে দুষ্কৃতকারীরা হামালা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। শুক্রবার সকাল ১০ টার সময় উপজেলার ৬ নং বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বুনারামনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী বুনারামনগর গ্রামের নিজাম সরদারের ছেলে ফরাদ সরদার ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অভয়নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একদল দুষ্কৃতকারীরা শুক্রবার সকালে ভুক্তভোগী ফরাদের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর লুটপাট করতে থাকে। এসময় ভুক্তভোগী ফরাদ ও তার স্ত্রী বাঁধা দিতে গেলে দুষ্কৃতকারীরা তাদের মারপিট করে ঘরে গর্চিত থাকা তিন ভরি স্বর্ণলংকার ও নগদ ৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এবং বাড়িঘর ভেঙেচুরে গুড়িয়ে দিয়ে দুষ্কৃতকারীরা চলে যায়। সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ফরাদ আনুঃ তিন বছর আগে বুনারামনগরের মৃত ইবাদ আলীর স্ত্রী মুক্তা বেগম ও মেয়ে উর্মি খাতুনের কাছ থেকে ৪.৮৯ শতক জমি কিনে বাড়িঘর করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। কিন্তু জমির শরিক পপি বেগমের দাবি ওই ঘর জমি তার পয়ত্রিক জমি। যে কারনে ভুক্তভোগীর বসত করা ঘর ও জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিলো। যে কারণে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হামলা ভাংচুর হতে পারে বলে এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন। এবিষয়ে জমি বিক্রেতা মুক্তা বেগমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার বর্তমান স্বামী ফোন রিসিভ করে বলেন, আমার স্ত্রী মুক্তা বেগমের বুনারামনগরে যে জমি ছিলো তা বিক্রি করে দিয়েছি আমার স্ত্রীর কোন অভিযোগ নেই ওই জমি নিয়ে। এবিষয়ে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বিএনপির সভাপতি অমর বলেন, তারা দুই দাগে জমি কিনেছে এবিষয় নিয়ে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে একাধিক বার শালিস করা হয়েছে। তারা শালিস মানেনা তাই পপি বেগম তার লোকজন নিয়ে ঘর ভেঙে দিয়েছে। এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলার ৬ নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৈয়েবুর রহমান বলেন, আমিন এনে ওইসব জমি ভাগ করে মেপে পীলার দিয়ে ঠিক করা হয়েছিলো যার জমি সে দখলে নিয়েছে। এবিষয়ে অভয়নগর থানার বাঘুটিয়া পুলিশ ক্যাম্পের এসআই নরুননবী বলেন, আমি সরেজমিনে দেখে এসেছি বিষয়টি ওসি স্যার ও চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে তারা বিষয়টি দেখবেন।