মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়া রেলওয়ে ষ্টেশনের সম্পদ কর্তৃপক্ষের কোটি কোটি টাকা বানিজ্যের মাধ্যমে প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে। সূত্রে জানা গেছে রেলওয়ে কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অবৈধ দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বানিজ্যের মাধ্যমে নওয়াপাড়া রেলওয়ে সম্পদ অবৈধ দখল করে নেওয়া হয়েছে। ফলে সরকারি সম্পদ ক্রমে বেদখলের হিড়িক দীর্ঘদিন ধরে চলমান থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনধরনের উচ্ছেদ অভিযান হয়না বললে চলে। যদিও লোক দেখানো কিছু উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হলেও পরে অজানা কোন কারণে সে অভিযান আলোর মুখ দেখেনা। যে কারনে বেপরোয়া ভাবে সরকারি রেলওয়ে সম্পদ অবৈধ ভাবে দখল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতম হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, নওয়াপাড়া ষ্টেশনের আওতাধীন এলাকায় বহুদিন যাবৎ প্রভাবশালী ও সুবিধাবাদী ব্যক্তিরা নওয়াপাড়া রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ও রাজনৈতিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বেআইনী ভাবে অস্থায়ী স্থাপনা নির্মানসহ স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করে বহাল তবিয়তে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনাসহ রেলওয়ের জায়গা ভাড়া দিয়ে হাট বাজার পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করছে একটি সিন্ডিকেট। এতে একদিকে রেলওয়ের সম্পত্তি যেমন বেহাত হচ্ছে অন্যদিকে রেলওয়ের চলাচলে ঝুঁকি বাড়ছে। একটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, রাজঘাট থেকে ভাঙ্গাগেট পর্যন্ত রেলওয়ের জায়গা অবৈধ দখল করে মার্কেট, নামে-বেনামে রাজনৈতিক কার্যালয়, ওয়েব্রীজ, বসত বাড়ি, সার-কয়লার ড্যাম্প, দোকান ঘর এমনকি নিয়মিত বসছে হাঁট-বাজার। এই হাঁট-বাজারগুলোর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হল, নওয়াপাড়া নূরবাগ এলাকার জুতা পট্টি, বটতলা ফেরিঘাট, বেঙ্গলগেট, ছাগল হাট, গরু হাট, পাইকারী মাছ বাজার ইত্যাদি। এই সকল হাঁট-বাজারগুলো রেলওয়ে সম্পত্তির উপর অবস্থিত হলেও সেখানকার ব্যবসা থেকে মুনাফা নিচ্ছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ের জায়গার উপর স্থায়ী ভাবে যে কোন স্থাপনা নির্মাণে বিধি নিষেধ থাকলেও তা অমান্য করে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দ্বি-তল বিলাস বহুল ভবন নির্মাণ করে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছে। অনুসন্ধানে আরোও দেখা যায়, রেলওয়ে ওয়াগনের মালামাল লোড-আনলোড করার জন্য সুবিধাবাদী একটি চক্র রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে রেল পাটির স্লীপারের ৩/৪ ফুটের মধ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গোডাউন নির্মাণসহ গাড়ির গ্যারেজ ও ড্যাম্প নির্মাণ করে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করলেও তা যেন দেখার কেউ নেই। এ বিষয়ে রেলওয়ে খুলনা’র আরএনবি সিআই এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিষয়টি রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি বিভাগের আমরা কিছু বলতে পারবোনা। এব্যাপারে নওয়াপাড়া রেলওয়ের ষ্টেশন মাস্টার ইয়াসিন আরাফাত বলেন, আমি নতুন এসেছি, বিষটি আমার জানা নেই। রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি বিভাগের কানুনগো বলেন,উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে শীঘ্রই উচ্ছেদে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।