অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে?

জাতীয়

বিশ্বাস করুন দেশ ও দেশের মানুষ আজ মহা সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে? অবস্থা দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই “প্রতি বিপ্লব” হতে যাচ্ছে। গত কয়েকদিনের উদ্ভূত পরিস্থিতি লক্ষ্য ও পর্যালোচনা করলেই খুব সহজে বুঝতে পারবেন। দেশের সকল অবকাঠামো ধ্বংস করার নেপথ্যে যারা কাজ করেছিল তাদের অপসারণ না করে করেই সবকিছুই স্বাভাবিক দেখানোর চেষ্টা চলছে এবং তাদেরকে তাদের স্থানেই রেখে দেয়া হয়েছে। ছাত্র সমাজের সংস্কারের যে স্লোগান ছিলো সেটাকে অবস্থাদৃষ্টে চাপা দেওয়ার প্রয়াস মনে হচ্ছে।

গতকাল(১১ই আগস্ট) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন পুলিশ বাহিনীকে আগামী বৃহস্পতিবার(১৫ই আগস্ট) পর্যন্ত সময় দিলেন কর্মস্থলে যোগদানের জন্য?
প্রশ্ন হচ্ছে, ১৫ই আগস্ট কেন? এর আগেই পুলিশদের তাদের কর্মস্থলে যোগদানের জন্য সময় দিতে পারতেন। কিন্তু কেন দিলেন না? বিষয়টি কি ভেবে দেখার প্রয়োজন নেই আমাদের!

এখন পর্যন্ত অভ্যুত্থানের পরও রাষ্ট্রপতি তার পদে বহাল আছে। বিগত ১৬ বছরে প্রশাসন ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে থেকে যারা হাজার হাজার মারাত্মক অপরাধের করেছেন তারাও নিজ নিজ পদে বহাল আছে। তিন বাহিনীর প্রধানও তাদের পদসমূহে বহাল আছে।

প্রশ্ন!!!
১। তাদের সেসব পদে বহাল থাকার কি যৌক্তিক কোন কারণ আছে?
২। রাষ্ট্রপতির কাছে যদি শপথ নেন তবে এই গণঅভ্যুত্থানের কি কোন বৈধতা আছে?
৩। এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি যদি ঠিক থাকেন, তবে প্রধানমন্ত্রী কিভাবে (আইনগতভাবে) অবৈধ হয়?
৪। রাষ্ট্রপতি, তিন বাহিনীর প্রধানেরা, পুলিশ/র‍্যাব/বিজিবি বাহিনী, সকল ধরনের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ও বিভিন্ন দপ্তরে বর্তমানে কর্মরত বিভিন্ন অপরাধী অফিসারগণ একত্রিত হয়ে ভাঁড়তের(ভারত) ❝র❞ এর সহযোগিতায় যদি একটা ঘটনা ঘটানোর অপচেষ্টা চালানো হয় (জুডিশিয়ারি ক্যু-এর মতো) সেক্ষেত্রে কিভাবে প্রতিরোধ করবেন? হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।

এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন ও তাদের সহযোগী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরাও সংগঠিত হয়ে অর্জিত সফল অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। ১৫ই আগস্ট তারা ঢাকা শহরে নাকি শোক দিবসের জন্য জনসমাবেশ করবে। তাদের বর্তমান কর্মকাণ্ড মনে করিয়ে দেয় ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরকে।

তাহলে কি ১৫ই আগস্ট ঘিরেই সকল পরিকল্পনা হচ্ছে?

তাই আসন্ন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের কাজ হবে দ্রুত কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করত: সকল জায়গায় দ্রুততার সাথে সংস্কার করে ফেলা। এই মুহূর্তে এর বিকল্প নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *