ঢাকার সাভারে সমন্বয়কের ভুয়া পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে মো. আজিজ (২৭) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
রোববার রাতে আশুলিয়া থানায় বাদী হয়ে প্রতারক আজিজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকার ব্যবসায়ী মানিক মিয়া। এর আগে তাকে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে সাধারণ জনতা।
গ্রেফতার আজিজ আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের মধুপুর তালটেকী এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, রোববার রাতে আজিজ ও তার সঙ্গী জাহাঙ্গীরসহ অজ্ঞাত ২০/২২ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে আশুলিয়ার শ্রীপুর পাইকারি কাঁচা বাজারে ভুক্তভোগী মানিক মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান।
এ সময় তারা নিজেদের সাভার-আশুলিয়া এলাকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীর বাসায় অবৈধ অস্ত্র ও গুলি আছে জানিয়ে তল্লাশি করতে চায়। এতে বাধা দিলে আজিজ ভুক্তভোগীকে গালিগালাজ ও হুমকিধামকি দিয়ে ভুক্তভোগীর বাসায় তল্লাশি করেন। বাসায় কোনো কিছু না পেয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে এবং চার দিনের সময় বেঁধে দেয় আজিজ।
ওই সময়ে টাকা প্রদান না করলে ভুক্তভোগীকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলায় আসামি করা হবে বলে হুমকি দেয়। পরে কোনো উপায় না পেয়ে বিষয়টি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের জানান ভুক্তভোগী।
এ ঘটনায় রাতেই অভিযুক্ত আজিজকে ডেকে নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণিত হয়।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী মানিক মিয়া বলেন, আমাকে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য আজিজ নিজেকে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে হুমকি দিয়েছে। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে ডাকা হলে তার প্রতারণার বিষয়টি শিক্ষার্থীদের সামনে প্রমাণিত হয়। পরে তাকে মারধর করে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে কয়েকদিন আগে স্থানীয় বিভিন্ন আওয়ামী নেতা, সাধারণ ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের নামে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে আজিজের কাছ থেকেও ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান বলেন, প্রতারণার অভিযোগ থাানয় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।