রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী-আমান উল্লাহ আমানসহ ৪ শতাধিক নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৮ই ডিসেম্বর) আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ।
বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহ আলম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপাসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলসহ চার শতাধিক নেতাকর্মী।
এদিকে আর মাত্র একদিন পর শনিবার (১০ই ডিসেম্বর) বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ। এরই মধ্যে বিকেলে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, শনিবারই বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই হবে। সবাইকে নয়াপল্টনের কথাই বলেছি। সরকারকে এটাও বলেছি, আপনাদের কাছে যদি বিকল্প থাকে, সেটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।
এরে আগে বুধবার (৭ই ডিসেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে সেখানে অনেক ককটেল পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ।
এ ঘটনায় পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ইকবাল হোসেন মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান প্রমুখ।
