বুড়িচংয়ে দুর্গাপূজার শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি

সারা বাংলা

মোঃ আবদুল্লাহ বুড়িচং কুমিল্লা প্রতিনিধি।।

সনাতন ধর্মালম্বীদের মাতৃত্ব ও শক্তির প্রতীক দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আহ্বান জানানোর মাধ্যমে শুরু হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উৎসবকে ঘিরে তড়িঘড়ি করে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। দিন-রাত সমানতালে কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা।এ পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা আগামী ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে। ১৩ অক্টোবর রবিবার বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দুগোৎসব। পূজার সময় ঘনিয়ে আসায় শেষ মুহূর্তে দেবীকে সাজিয়ে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার প্রতিমা তৈরির মৃৎশিল্পীরা।শিল্পীদের নিপুন হাতের ছোঁয়ায় ইতোমধ্যে মাটির কাজ শেষ করে চলছে রঙ তুলির কাজ। শিল্পীর রঙ তুলির আঁচড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে দশভূজা দেবীদুর্গাসহ বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমূর্তী। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবীদুর্গা শক্তি ও সুন্দরের প্রতীক। প্রতি বছর অশ্বরের বিনাশ কল্পে মা দেবী দুর্গা এই ধরাধামে আবির্ভূত হয়। তাই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন সমাজ থেকে অন্যায় অবিচার গানি দূর করার জন্যই এই পূজার আয়োজন।এবছর উপজেলায় ৩৬টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সমর মিত্র।
পূজা উৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে মন্দিরগুলোতে চলছে সাজসজ্জার প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে খড়, কাঠ, সুতা আর মাটি দিয়ে দুর্গাসহ নানা প্রতিমার কাঠামো তৈরি শেষে এখন চলছে প্রতিমায় রং দেওয়ার কাজ। শিল্পী নিপুণ হাতে রং তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলছেন দেবী দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষী, গণেশসহ নানা প্রতিমা। পুরুষদের পাশাপাশি প্রতিমা তৈরির কাজে সহায়তা করছে বাড়ির নারী শিল্পীরাও। তবে প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বাড়ার কারণে বেড়েছে প্রতিমার দাম।
আগামী ৯ অক্টোবর থেকে ৫দিন ব্যাপী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।রাজন জানান, বর্তমানে চলছে রঙ তুলির আচর। প্রতিমাগুলো মনোমুগ্ধকর ও নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করছি। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হবে সকল প্রতিমা তৈরির কাজ।তিনি আরও বলেন, প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বাড়লেও ক্রেতারা প্রতিমার দাম বলছেন কম। বাধ্য হয়ে প্রতিমা বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে খুব একটা লাভের মুখ দেখছি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *