বাংলাদেশের কনস্টেবল থেকে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের সংগঠন পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ঘোষণা করেছে, পুলিশ সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি পালন করবে।
‘দেশ থেকে স্বৈচারার উৎখাত’ করার জন্য তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘সকল সৈনিককে’ অভিনন্দন জানিয়েছে। সেইসাথে নিহত ছাত্রদের রূহের মাগফেরাত কামনা করেছে।
সেখানে বলা হয়েছে, ‘আমরা প্রকৃতপক্ষে নিয়োগের শুরু থেকেই সার্জেন্ট/সাব-ইন্সপেক্টরসহ নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীরা সিনিয়র অফিসারদের অথবা রাজনৈতিক নেতাদের স্বার্থ হাসিলের বাহক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হই। আমাদের অফিসাররা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দলীয় পরিচয়ে দুষ্ট।’
‘আমরা বর্তমান কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ যেকোনো আন্দোলনে কোনো সাধারণ মানুষকে সরাসরি গুলি করতে না চাইলেও সেটা বাধ্য হয়ে করতে হয় দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য।…আমরা কোটা সংস্কারের মতো পুলিশ বাহিনীর সংস্কার চাই।’
সেখানে বলা হয়েছে, ‘পুলিশ বাহিনী হিসেবে নিরীহ ছাত্রদের সাথে যে অন্যায় করেছে তার জন্য আমরা ক্ষমা প্রার্থী।যেসব পুলিশ কর্মকর্তা অন্যায়ের সাথে জড়িত, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে দাবি করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে সারাদেশে ৪৫০টিরও বেশি থানায় হামলা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের ওই বিবৃতিতে।