বাংলাদেশের সামগ্রিক বীমা খাতে উন্নয়ন তরান্বিত করতে দেশে ইনশিওরটেককে আনুষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য আজ এক অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন।
আজ বেসিস অডিটোরিয়ামে ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইনশিওরটেক প্রযুক্তির সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এই পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বাংলাদেশের সামগ্রিক বীমা খাতের উন্নয়নে ইনশিওরটেকের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকাকে আরও জোরদার করার অভিমত ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক, বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংগঠনের বিশিষ্ট অতিথিরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বেসিস-এর এসভিপি সামিরা জুবেরী হিমিকা অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। গোলটেবিল আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন বেসিস ফিনটেক স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান ফিদা হক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক (বিএফআইইউ) মাসুদ রানা বলেন, ‘বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের তাদের নীতিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা উচিত, যাতে বীমা এবং প্রযুক্তি কোম্পানি ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তিসমূহের সমন্বয়ে নতুন ইনশিওরেন্স পণ্যর বিকাশ ও পরিবর্ধন করতে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে পারে।’
বেসিস ফিনটেক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ফাহিম মাশরুর বলেন, ‘ইনশিওরটেক শিল্পের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং গ্রাহকদের ভালভাবে সেবা দেওয়ার জন্য, বীমা পলিসিগুলোকে সঠিকভাবে সমন্বয় ও নতুনভাবে ডিজাইন করার জন্য আজকের বৈঠকে কয়েকটি যুগান্তকারী ধারণা এবং পরামর্শ প্রস্তাব করা হয়েছে।’
ফিদা হক আর্থিক সেবার বাজারে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে এবং যথাযত পরিবর্তন আনতে যে কয়েকটি মূল বাধা অতিক্রম করতে হবে সে সম্পর্কে অনুষ্ঠানে আলোকপাত করেন ।
অংশগ্রহণকারীরা উপমহাদেশসহ অন্যান্য দেশে বীমা খাতের বাজার এবং বীমাসেবার বৈচিত্র্য বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি বলে তারা উল্লেখ করেন।
বিশেষজ্ঞরা ইনশিওরটেক সেক্টরে বর্তমানে বিরাজমান পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেন। এগুলো হলো- প্রথমত, ইনসুরটেক কোম্পানিগুলিকে ডিজিটাল ইন্স্যুরেন্স এজেন্ট হিসাবে কাজ করার অনুমতি দিয়ে বা তাদের সামঞ্জস্য করার জন্য বীমা আইন সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত একটি অনাপত্তি পত্র বা এনওসি প্রদান করা।
দ্বিতীয়ত, বর্তমান বাজারের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যমান বিধান এবং আদেশের উল্লেখযোগ্য সংশোধন করা প্রয়োজন। বেসিস দেশের সমস্ত সফটওয়্যার এবং আইটিইএস সংস্থাগুলির শীর্ষ শিল্প সংস্থা হিসাবে, পরিস্থিতি সমাধানে সহায়তা করার জন্য নিয়ন্ত্রক এবং বাণিজ্য সংস্থা এবং শিল্প বিশেষজ্ঞদের সাথে জোটবদ্ধভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এছাড়াও, প্যানেলটি নিয়ন্ত্রকদের অনুরোধ করেছে, নিয়মিত এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এবং বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে ইনশিওরটেক শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
গোলটেবিল আলোচনায় মাসুদ রানা, এহসানুল কবির, রফিকুর রহমান, মো. মনিরুজ্জামান খান, মো. রাফেল কবির, আলভি নিজাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
