বিশেষ প্রতিনিধি: প্রবাসে থেকেও ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে ছাত্র জনতার উপর হামলার ঘটনায় আসামি হলেন সোনাগাজীর ৩ রেমিটেন্স যোদ্ধা। এ ঘটনায় ওই প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। উক্ত মামলায় দুই সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে, যারা ঘটনার দিন সোনাগাজী ও দাগনভুঞায় ছিলেন।
জানা যায়, ছাত্র আন্দোলনে ৪ আগস্ট মহিপালে ছাত্র জনতার উপর হামলার ঘটনায় গত ১৮ নভেম্বর ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন সেনবাগ উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে সিএনজি চালক আবদুর রব (ফেনী থানায় মামলা নং- ৪৩)। এ মামলায় ১৪২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার ১১১ নম্বর আসামি করা হয়েছে সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের মান্দারি গ্রামের মো. হানিফের ছেলে সৌদি প্রবাসী মুহাম্মদ রিয়াদকে। তার পরিবারের দাবি, গত ৫ বছর ধরে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন রিয়াদ। মামলায় ১১৭ নম্বর আসামি করা হয়েছে একই গ্রামের মো. ইদ্রিস মিয়ার ছেলে বিশ্বাস মিয়াকে। গত তিন বছর ধরে তিনিও সৌদি আরবে অবস্থান করছেন বলে দাবি পরিবারের।
একই ইউনিয়নের আড়কাইম গ্রামের আবু আহম্মদের ছেলে নাছির উদ্দিনকেও একই মামলার ১০১ নম্বর আসামি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তার পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তিনিও জীবিকার সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।
অপরদিকে, সাপ্তাহিক ফেনীর ডাক এর সম্পাদক জিয়াউর রহমান হায়দারকে ২০ নম্বর ও দেশ রূপান্তর এর সোনাগাজী প্রতিনিধি আবুল হোসেন রিপনকে ৫২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। দুজনেই ঘটনার দিন নিজ নিজ উপজেলায় কর্মরত ছিলেন বলে জানান।
এদিকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ফেনী সাংবাদিক ইউনিয়ন ও সোনাগাজী প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
বিদেশে থেকেও কীভাবে আসামি হয়েছেন তিন প্রবাসী এমন প্রশ্নের জবাবে ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা জানান, বিদেশে থেকে কেউ আসামি হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। বাদীর এজাহার পেয়ে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। দুজন সাংবাদিক কীভাবে আসামি হলো সেটাও জানা নেই। এজাহারে তাদের পেশাগত পরিচয় ছিল না। আশা করি তদন্তে বিষয়টি জানা যাবে।