ইরাক আহমেদ :
দিন দিন ক্রমাগত বেড়েই চলছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম।সবচেয়ে বেশি বিপাকে মধ্যবিত্ত শ্রেণী সহ সাধারণ জনগণ। অর্থনীতির ভাষায় সাধারণ মানুষের চাহিদার তুলনায় যোগান কম তবুও এভারেজ করে বাজার করছেন সাধারণ মানুষ। গত সপ্তাহের মতো চলতি সপ্তাহে ও আলু ৬০ টাকা এবং পিয়াজ ১২০ টাকা প্রতি কেজি মূল্য অব্যাহত আছে কিন্তু অন্যান্য দ্রব্যমূল্য কাঁচামাল হাতের নাগালের বাইরে। আজ ১৫ ই অক্টোবর ২০২৪ ইং,গাজিপুরের শ্রীপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বরমী বাজার এবং শ্রীপুর উপজেলা সংলগ্ন বাজার, এবং গাজিপুরের কয়েকটি থানা এলাকা ভিজিট করে সরেজমিনে তা লক্ষ্য করা যায়।তাছাড়া সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক আয় অত্যন্ত কমে গেছে বলে জানান কায়িক পরিশ্রমকারীরা।ব্যবসায়ীরা জানান আড়ৎ থেকে চড়া মূল্য দিয়ে দ্রব্য কিনে সাধারণ মানুষের চাহিদার জন্য ব্যবসা চলমান রেখেছেন এবং ব্যবসায়ীরা জানান বেশ কিছুদিন ধরে লস হচ্ছে ব্যবসায়। আজকে কাঁচামরিচ ৪০০ টাকা প্রতি কেজি এবং কাকরুল ১৫০ টাকা কেজি বেগুন ১৬০ টাকা কেজি, পুইঁশাক ৮০ টাকা কেজি এবং অন্যান্য দ্রব্যমূল্য হাতের নাগালের বাইরে রয়েছে। রুই মাছ ৩৫০ টাকা কেজি, পাঙ্গাশ মাছ ১৯০ টাকা কেজি, চিংড়ি মাছ ৫০০,ছোট মাছ ৩০০ টাকা কেজি এবং ইলিশ মাছ ২২০০ থেকে ২৩০০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে,ডিম এক ডজন ১৮০ টাকা,মুরগী ব্রয়লার ২০০ টাকা কেজি, মুরগী কর্ক ৪৫০ টাকা কেজি,খাসির মাংস ১২০০ টাকা কেজি, গরুর মাংস ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সীমিত আকারে বাজার করছে সাধারণ মানুষ।
অতিদ্রুত ভোক্তা অধিদপ্তরের বিশেষ সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সাধারণ জনগণ যাতে করে দ্রব্যমূল্য হাতের নাগালে আসে।শ্রীপুরের ঐতিহ্যবাহী ৬ নং বরমী ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউপি মেম্বার পারবিন আক্তার নিশি বিষয়টি সরেজমিনে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি বলে এভাবে দ্রব্য মূল্যের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ অচল অবস্থায় পড়ে যাবে।সুশীল সমাজ, মধ্যবিত্ত এবং কায়িক পরিশ্রম করা সাধারণ মানুষ সরকারের বিশেষ সুদৃষ্টি কামনা করেছেন যাতে দ্রব্যাদির দাম হাতের নাগালে চলে আসে এমনটাই প্রত্যাশা করেন।