শারমিন সরকার বৃষ্টি খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি জেলায় স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় স্থানীয় পল্লী উন্নয়ন উপদেষ্টা এ.এফ. হাসান আরিফ বলেন ভুল বুঝাবুঝি ও গুজব প্রতিরোধ করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।
খাগড়াছড়িতে দূর্ঘটনা অত্যান্ত দুঃখ জনক উল্লেখ করে সেই সুন্দর পরিবেশ আবারো ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে তা যেন আগামীতে আর না হয় সে জন্য সচেষ্ট থাকা এবং পারস্পরিক মেলামেশাটা আরো বেশি হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
সাংস্কৃতিক মেলামেশাকে বেশি জোর দেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন,বর্তমান স্যোসাল মিডিয়ার উপকারিতা ও অপকারিতাও বেশি মন্তব্য করে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেন, গুজব ছড়ানো হয়েছে সেই গুজব প্রতিরোধে সাংবাদিকের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কাউন্টার সক্ষমতা ব্যবহার করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সাংবাদিকদের অবদান সবচেয়ে বেশি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শনিবার (আগামী ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪) বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি,গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো: শহিদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে এতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী,পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা (অবঃ) রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা,চট্টগ্রাম ২৪ ডিভিশনের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মাইনুর রহমান,পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল,খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো: আমান হাসান,খাগড়াছড়ির মং সার্কেল চীফ সাচিং প্রু মারমাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন।
এছাড়াও রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা সফর কালে তিনি পাহাড়ের বিভিন্ন সমসাময়িক বক্তব্য রাখেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা। খাগড়াছড়িতে সংঘর্ষের রেশ পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক হামলা,ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রতিনিধি দল মতবিনিময়ে অংশ নেন।
উল্লেখ যে, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪) ভোর ৪ টার দিকে খাগড়াছড়ির নোয়াপাড়া-নিউজিল্যান্ড সড়কে এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় মো. মামুন নামের এক যুবক বৈদ্যুতিক পিলার এর সাথে ধাক্কা খায় বলে নিশ্চিত খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি মো. আব্দুল বাতেন মৃধা।
এ ঘটনার পর তাকে স্থানীয়রা আটক যুবককে মারধর করে। সে ভিডিও ভাইরাল হয়। পরে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর আবাসিক মেডিকেল অফিসার তার মৃত্যু আগেই হয়েছে বলে জানান।
পরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে খাগড়াছড়িতে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ও জেলা সদরের স্বনির্ভর এলাকায়। পরে তা রাঙামাটিতেও সংঘাতে রূপ নেই। এতে দু’জেলায় ৪ যুবক নিহত হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে (আনুমানিক সাড়ে ১০টার পর) খাগড়াছড়ি সদরের নারাঙহিয়া, উপালি পাড়া ও স্বনির্ভর এলাকায় ব্যাপক গুলির শব্দ শোনা যায়। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে রাতে ১২ জনকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়। চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। তবে কাদের গুলিতে এ ঘটনা ঘটেছে তা কেউ নিশ্চিত করেনি প্রশাসন।
হত্যাকাণ্ডের অভিযোগর উত্তাপ ছড়িয়ে পড়লে
দীঘিনালায় এঘটনার জেরে লারমা স্কোয়ারে বাজারের ১০২টি অধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। পাহাড়ে এক সাম্প্রদায়িক ডাঙ্গা শুরু হয়,পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য ২০/০৯/২০২৪ খ্রি.
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।