মাহাবুব মন্ডল :
আশুলিয়া থানার মধ্য গাজীরচট সোনিয়া মার্কেট এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মা-মেয়েসহ ৪ জনকে মারধর, শ্লীলতাহানি ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগে বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর ) দুপুরে বিষয়টি বিষায়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক কামাল হোসেন। এসময় তিনি বলেন এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোসা: লিপি আক্তার বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ (ক) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার রাতে আশুলিয়া থানার মধ্য গাজীরচট সোনিয়া মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের-কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো: (১) শাহাদাত (৫০) পিতা: মৃত হাজী শাহজাহান,গ্রাম-বাইপাইল (সোনিয়া মার্কেট),থানা-আশুলিয়া,জেলা-ঢাকা। (২) ওমর ফারুক শাহিন শাহ্ (২২),পিতা-শাহাদাত,গ্রাম- বাইপাইল (সোনিয়া মার্কেট),থানা-আশুলিয়া, জেলা-
ঢাকা। এছাড়া উক্ত মামলায় পলাতক রয়েছেন- ননাসের জামাই একই এলাকার মৃত রশিদ মোল্লার ছেলে মো: কাদের মোল্লা (৪৮)।
মামলা সূত্রে জানা যায়,আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজিরচট এলাকার মো: আব্দুল হালিমের মেয়ে ভুক্তভোগী লিপি আক্তার ও শাহাদাত হোসেন মিয়ার সাথে জায়গা- জমি,দোকান পাট এবং পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত ১২ আগস্ট সকাল ১০টার সময় তিন মেয়ে স্কুল,কলেজ ও অন্যান্য কাজে যাওয়ার সময় লিপি আক্তার তার সোনিয়া মার্কেটের সংস্কার কাজ করছিলেন। এসময় ভাসুর শাহাদাত, ভাসুরের ছেলে ওমর ফারুক শাহিন শাহ্ ও ননাসের জামাই কাদের মোল্লা উক্ত মার্কেটের সামনে এসে লিপি আক্তারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
এসময় লিপি আক্তার প্রতিবাদ করলে আসামিরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র হাতুড়ি, শাবল ও লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি ভাবে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে ও মাথার চুল ধরে টানা হেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি করে। এছাড়া হত্যার উদ্দেশ্যে তার গলা চেপে ধরে এবং গলায় থাকা ১ ভরি ৬ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ও কানে থাকা ৩ আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল ছিনিয়ে নেয়, যাহার বাজার মূল্য ১ লক্ষ আশি হাজার টাকা। এছাড়া এক পর্যায়ে মাকে বাঁচাতে তিন মেয়ে এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করে বিবস্ত্রসহ শ্লীলতাহানি করা হয়। এদিকে তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
উক্ত বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক এর কাছে জানতে চাইলে বঙ্গ সংবাদের প্রতিবেদককে তিনি বলেন, মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে ভুক্তভোগী নারী বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলার দুই আসামি-কে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পলাতক আসামি-কে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।